তৃতীয় বারের জন‍্য মুখ‍্যমন্ত্রী আসনে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর সমর্থনে ভোট প্রচারে তৃণমূল

26th November 2020 6:44 pm বর্ধমান
তৃতীয় বারের জন‍্য মুখ‍্যমন্ত্রী আসনে মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর সমর্থনে ভোট প্রচারে তৃণমূল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  বিধানসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন!বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়  এইভাবেই ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার শপথ নিয়েই এই নির্বাচনী দেওয়াল লিখন বলেই তাদের দাবি।ঘাসফুল প্রতীক অাঁকা দেওয়ালের লেখায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবার আবেদন রাখা হয়েছে।তবে দেওয়াল লিখনের ব্যাপারে ব্যাকফুটে থাকলেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব।
       কালনার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা বৃহস্পতিবার কালনা বিধানসভার কালনা শহরেই দেওয়াল লিখনের আসরে নামেন।বেশ কয়েকটি দেওয়ালে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক অাঁকেন।পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য ভোট দেবার কথা উল্লেখ করেছেন।যদিও দেওয়াল গুলিতে প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে।কালনা শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ হালদার জানিয়েছেন,জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দেবনাথ ও যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারের নির্দেশে তারা দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন।তৃণমূলের এই দেওয়াল লিখনকে কটাক্ষ করেছেন বর্ধমান পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সম্পাদক সুদীপ্ত রায়।এই বিষয়ে তিনি বলেন,‘অস্তিত্বের সংকট তৈরী হয়েছে তৃণমূলের।এই দেওয়াল লিখনই তার নমুনা।কারণ এখনো ঢের সময় পর বিধানসভা নির্বাচন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আর মুখ্যমন্ত্রী হবে না সেই আতঙ্ক থেকেই  আতঙ্কগ্রস্ত তৃণমূল নেতারাই ভয়ে এইসব কাজ করছে।যাই করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটা এইবার শুধু দেওয়ালের লেখাতেই থেকে যাবে।এইবার সরকার গঠন করবে বিজেপি।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।